মো ইফাজ খাঁ, মাধবপুর, হবিগঞ্জ: মাধবপুরের ছাতিয়াইন ইউনিয়নে প্রেমঘটিত কারণে আতিকুল ইসলাম মিশু (১৭) নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আতিকুল ইসলাম মিশু মাধবপুর উপজেলার একতিয়ারপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী শামসুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে তারেক মিয়া (২০) গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একতিয়ারপুর গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তারেক মিয়ার। আবার ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়তে চেয়ে ছিলেন মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের হরিতলা গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে শিমুল মিয়া (২১)।
এক পর্যায়ে শিমুলের ধারণা হয়, মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পথে তারেকই বাধা। তখন সে তারেক মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এই পরিকল্পনার অংশ হিসাবে শিমুল নিয়মিতভাবে তারেকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতো।
বৃহস্পতিবার রাতে ছিল ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সুন্নি মহাসম্মেলন। শিমুল মিয়া জানতে পারেন, সেই সম্মেলনে তারেক মিয়াও রয়েছেন।
ওইদিন দিবাগত রাত প্রায় ১টার দিকে সম্মেলনের পাশের রাস্তায় দলবল নিয়ে অবস্থান নেন শিমুল। এ সময় আতিকুল ইসলাম মিশু ও তারেক মিয়া ওই স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় শিমুল ও তার লোকজন হামলা চালায়। অতর্কিত এ হামলায় ছুরিকাঘাতে মিশুর পেটে ও তারেকের কোমর গুরুতর জখম হয়।
স্থানীয় লোকজন মিশু ও তারেককে উদ্ধার করে রাত ৩টার দিকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ভোর সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিশু মারা যান। গুরুতর আহত তারেককে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে প্রেমঘটিত কারণেই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।